পরমাণুর গঠন

- সাধারণ বিজ্ঞান ভৌতবিজ্ঞান | - | NCTB BOOK
898
898

মৌলিক পদার্থের যে ক্ষুদ্রতম কণার মধ্যে মৌলটির সমস্ত ধর্ম উপস্থিত থাকে এবং যা রাসয়ানিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে তাকে মৌলিক পদার্থটির পরমাণু বলে। সমস্ত কঠিন, তরল, গ্যাস এবং আয়ন -এর গঠনের মূলে রয়েছে নিস্তরিত বা আধানগ্রস্ত পরমাণু। পরমাণুর আকার খুবই ক্ষুদ্র; সাধারনত এরা দৈর্ঘ্যে ১০০ পিকোমিটার (১ মিটারের ১০,০০০,০০০,০০০ ভাগের ১ ভাগ)।

পরমাণুর মাত্রা এই ক্ষুদ্রাকার হওয়ার কারণেই এর আচরনের বৈশিষ্টতা প্রথাগত পদার্থবিদ্যার সূত্র দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায় না।

common.content_added_by

মৌলিক কণিকা

1.1k
1.1k

কণা পদার্থবিজ্ঞানে মৌলিক কণা বা প্রাথমিক কণা হল সেসব কণা , যাদের ক্ষুদ্রতর কোন ভিত্তি বা গাঠনিক একক নেই অর্থাৎ এরা অন্য কোনো ক্ষুদ্রতর কণার সন্নিবেশে গঠিত হয়নি । যদি কোন মৌলিক কণার প্রকৃতপক্ষেই কোন ক্ষুদ্রতর একক না থাকে তবে তাকে মহাবিশ্বের গাঠনিক একক হিসাবে বিবেচনা করা হয় , যা থেকে অন্য সব কণা তৈরি হয়েছে । আদর্শ মডেল অনুযায়ী কোয়ার্ক , লেপটন এবং গেজ বোসনকে মৌলিক কণিকা হিসাবে বিবেচনা করা হয় ঐতিহাসিকভাবে , হ্যাড্রন , মেসন এবং বেরিয়ন (যেমন: প্রোটন এবং নিউট্রন) এমনকি পুরো পরমাণুই একসময় মৌলিক কণিকা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে । মৌলিক কণা তত্ত্বের একটি ভিত্তিসূচক ধারণা হল ২০ শতাব্দীর সূচণাভাগের "কোয়ান্টার" ধারণা , যা তড়িৎ-চৌম্বকীয় বিকিরণ সংক্রান্ত অধ্যয়নে নতুন যুগের সূচণা করেছে এবং কোয়ান্টাম বলবিদ্যার সূত্রপাত ঘটিয়েছে । গাণিতিক প্রয়োজনে মৌলিক কণাদিকে বিন্দু কণা হিসেবে বিবেচনা করা হয় , যদিও কিছু কণা তত্ত্ব যেমন স্ট্রিং তত্ত্বে এর ভৌত মাত্রার ধারণা দেয়া হয়েছে 

common.content_added_by

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

লাল, সবুজ, পার্পেল
নীল, সবুজ , লাল
লাল, হলুদ, নীল
হলুদ, লাল, সবুজ

পরমাণুর গঠন

511
511

 

পরমাণুর গঠন

সম্পাদনা

পরমানুর গঠন কেমন হতে পারে, তা নিয়ে বিজ্ঞানীরা অনেক গবেষণা করেছেন । এর মধ্যে অন্যতম হলো ডাল্টনের পরমাণুবাদ । আধুনিক রসায়ন এর ভিত্তি বলে পরিচিত ডাল্টনের পরমাণুবাদে পরমাণুকে অবিভাজ্য ধরা হয়েছে। কিন্তু এ তত্ত্ব এখন অচল। ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ ভাগে প্রমাণিত হয় যে, পরমাণুর তিনটি উপাদান। যেসব সূক্ষ কণিকা দিয়ে পরমাণু গঠিত, তাদেরকে মৌলিক কণিকা বলে । এরা হচ্ছে ইলেকট্রন, প্রোটন এবং নিউট্রন । এ তিনটি কণিকা বিভিন্ন সংখ্যায় একত্রিত হয়ে ভিন্ন ভিন্ন পরমাণু গঠন করে । ধনাত্মক আধানযুক্ত প্রোটন এবং আধানহীন নিউট্রন একত্রিত হয়ে নিউক্লিয়াস গঠন করে আর এদেরকে ঘিরে ঋণাত্মক আধানের ইলেকট্রন ঘুরছে ।

 

common.content_added_by

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

প্রোটন ও ইলেক্ট্রন দ্বারা
নিউট্রন ও প্রোটন দ্বারা
ইলেক্ট্রন ও নিউট্রন দ্বারা
ইলেক্ট্রেন , প্রোটন ও নিউট্রন দ্বারা

পরমাণুর ইলেকট্রন বিন্যাস

1.4k
1.4k

কোন পরমাণুর নির্দিষ্ট সংখ্যক ইলেক্ট্রন ঐ পরমাণুর বিভিন্ন শক্তিস্তরের অন্তর্ভুক্ত নির্দিষ্ট উপশক্তিস্তরের বিভিন্ন অরবিটালে নির্দিষ্ট নিয়মে সজ্জিত থাকে, ইলেক্ট্রনের এই সজ্জাকে পরমাণুর ইলেক্ট্রন বিন্যাস বলে। ইলেক্ট্রন বিন্যাস পলির বর্জন নীতি, আউফবাউ নীতি ও হুন্ডের নিয়ম দ্বারা ব্যাখ্যা করা যায়।

পলির বর্জন নীতি

সম্পাদনা

একটি পরামাণুতে দুটি ইলেক্ট্রনের (সাধারণভাবে দুটি ফার্মিয়ন এর) চারটি কোয়ান্টাম সংখ্যার মান কখনও একই হতে পারে না। অন্ততপক্ষে একটির মান দুটি ইলেক্ট্রনের বেলায় ভিন্ন হতে হয়।

আউফবাউ নীতি

সম্পাদনা

পরমাণুতে ইলেক্ট্রনসমূহ বিভিন্ন শক্তিস্তর দখলের সময় প্রথমে সবচেয়ে কম শক্তিসম্পন্ন স্তরে অবস্থান গ্রহণ করবে, নিম্ন শক্তিস্তর পূর্ণ হওয়ার পর পরবর্তী অপেক্ষাকৃত উচ্চতর শক্তি সম্পন্ন স্তরে গমন করবে। কোন স্তরের শক্তির মান নির্ভর করবে (n+l) এর মানের উপর।যেখানে n হলো কক্ষপথ নম্বর এবং l হলো অরবিটালের সহকারী কোয়ান্টাম সংখ্যা।

হুন্ডের নীতি

সম্পাদনা

“সমশক্তিসম্পন্ন অরবিটালগুলোতে ইলেকট্রনের প্রবেশের সময় যতক্ষণ পর্যন্ত অরবিটাল খালি থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত ইলেকট্রনগুলো অযুগ্মভাবে অরবিটালে প্রবেশ করবে এবং এ অযুগ্ম ইলেকট্রগুলোর স্পিন একমুখী হবে। ”

common.content_added_by

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

পারমাণবিক সংখ্যা

608
608

পারমাণবিক সংখ্যা: রসায়ন ও পদার্থ বিদ্যায় কোনো পরমাণুর কেন্দ্রে প্রোটনের সংখ্যাকে পারমাণবিক সংখ্যা বলে। আধান নিরপেক্ষ পরমাণুতে ইলেকট্রন-এর সংখ্যাও পারমাণবিক সংখ্যার সমান। পারমাণবিক সংখ্যা অনন্যভাবে একটি মৌলিক পদার্থকে চিহ্নিত করে। নিউক্লিয়াসের ধনাত্মক চার্জের সংখ্যা এবং পারমাণবিক সংখ্যা সমান থাকে। প্রোটনের ভর ও নিউট্রনের ভর প্রায় সমান বলে তাদের সমষ্টি অর্থাৎ পরমাণুর ভর সংখ্যাকেই পারমাণবিক ভর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ভর সংখ্যা হল নিউক্লিয়াসে প্রোটন ও নিউট্রনের মোট সংখ্যা যাকে A দিয়ে প্রকাশ করা হয়। পারমাণবিক সংখ্যাকে Z দ্বারা প্রকাশ করা হয় ।

common.content_added_by

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

ভর সংখ্যা বা নিউক্লিয়ন সংখ্যা

3.2k
3.2k

ভর সংখ্যা (Mass Number) : কোনো মৌলের একটি পরমাণুর নিউক্লিয়াসের মধ্যে অবস্থিত প্রোটন এবং নিউট্রনের মোট সংখ্যাকে ওই মৌলের বা পরমাণুর ভরসংখ্যা বলে । অর্থাৎ ভরসংখ্যা =  প্রোটন সংখ্যা + নিউট্রন সংখ্যা । ভরসংখ্যাকে 'A' অক্ষর দিয়ে প্রকাশ করা হয় ।

• ভর সংখ্যা এবং পারমাণবিক সংখ্যার মধ্যে সম্পর্ক : কোনো মৌলের পরমাণুতে যদি P -সংখ্যক প্রোটন এবং N -সংখ্যক নিউট্রন থাকে, তাহলে

পরমাণুটির ভরসংখ্যা (A) =  প্রোটন-সংখ্যা (P) + নিউট্রন-সংখ্যা (N)

যেহেতু, প্রোটন-সংখ্যা (P) = পারমাণবিক-সংখ্যা (Z)

অতএব, ভরসংখ্যা (A) =  পারমাণবিক-সংখ্যা (Z) + নিউট্রন-সংখ্যা (N) বা Z = A - N

অক্সিজেনের পারমাণবিক সংখ্যা (Z) = 8 এবং ভর-সংখ্যা (A) = 16 ; সুতরাং অক্সিজেনকে 8O16 লিখে প্রকাশ করা হয় ।

common.content_added_by

পর্যায় সারণী

748
748

পর্যায় সারণি হচ্ছে বিভিন্ন মৌলিক পদার্থকে একত্রে উপস্থাপনের একটি আন্তর্জাতিক ভাবে গৃহীত ছক। আজ পর্যন্ত আবিষ্কৃত মৌলসমূহকে তাদের ইলেকট্রন বিন্যাসের উপর ভিত্তি করে, ধর্মাবলী বিবেচনায় নিয়ে বিভিন্ন শ্রেণীতে ও পর্যায়ে বিভক্ত করে মৌলসমূহের পারমাণবিক সংখ্যার ক্রমানুসারে পর্যায় সারণিতে সাজানো হয়েছে। পর্যায় সারণিতে মোট ১১৮টি মৌল রয়েছে।এতে ২০টি অধাতু ও ৯১টি ধাতু এবং ৭টি অপধাতু রয়েছে।বিশেষ দ্রষ্টব্য

সম্পাদনা

অ্যাক্টিনাইড ও ল্যান্থানাইড সিরিজের মৌলসমূহকে একত্রে "বিরল মৃত্তিকা ধাতু" নামে অভিহিত করা হয়। এই মৌলগুলোর শ্রেণী সম্বন্ধে বিস্তারিত তথ্যের জন্য এখানে ক্লিক করুন।

ক্ষার ধাতু, মৃৎক্ষার ধাতু, অবস্থান্তর মৌল, অন্তঃঅবস্থান্তর মৌল, ল্যান্থানাইড, অ্যাক্টিনাইড এবং দুর্বল ধাতু এই সবগুলোকে একত্রে ধাতু বলা হয়।

হ্যালোজেন ও নিষ্ক্রিয় গ্যসসমূহও অধাতু।

অবস্থা

সম্পাদনা

আদর্শ তাপমাত্রা ও চাপ (0°সে. এবং ১ atm) ধর্তব্য

যে সমস্ত মৌলের ব্লক red রংয়ের সেগুলো বায়বীয়।

যে সমস্ত মৌলের ব্লক green রংয়ের সেগুলো তরল।

যে সমস্ত মৌলের ব্লক black রংয়ের সেগুলো তরল।

প্রকৃতিগত সাংগঠনিক বৈশিষ্ট্যসমূহ

সম্পাদনা

যে মৌলগুলোর ব্লকে অবিচ্ছিন্ন সীমারেখা আছে সেগুলো আদিম মৌল, অর্থাৎ তাদের যেকোন একটি স্থিতিশীল আইসোটোপের বয়স পৃথিবীর বয়সের চেয়ে বেশি।

যে মৌলগুলোর ব্লকে ড্যাশ আকারের সীমারেখা আছে সেগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে অন্যান্য মৌলের তেজস্ক্রিয় ভাঙনের মাধ্যমে সৃষ্টি হয় এবং এগুলোর এমন কোন স্থিতিশীল আইসোটোপ নেই যেটির বয়স পৃথিবীর বয়সের চেয়ে বেশি। তবে এগুলোর মধ্যে কয়েকটিকে কিছু তেজস্ক্রিয় আকরিকের মধ্যে খুব সামান্য পরিমাণে পাওয়া যায়।

যে সমস্ত মৌলের ব্লকে ডট আকারের সীমারেখা রয়েছে সেগুলো কৃত্রিম মৌল হিসেবে পরিচিত, অর্থাৎ এগুলো প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্টি হয়না।

দ্রষ্টব্য: ক্যালিফোর্নিয়াম (Cf) নামক মৌলটি যদিও পৃথিবীতে প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্টি হয়না, তথাপি ক্যালিফোর্নিয়াম এবং এর তেজস্ক্রিয় ভাঙনের মাধ্যমে সৃষ্ট অন্যান্য কিছু মৌল মহাবিশ্বের অন্যান্য স্থানে পাওয়া যায়। বিভিন্ন সুপারনোভা থেকে প্রাপ্ত * বর্ণালীতে এ মৌলসমূহের তড়িৎচৌম্বক বিকিরণ রেখার অস্তিত্ব পাওয়া যায়।

যে মৌলগুলোর ব্লকে কোন সীমারেখা নেই সেগুলো প্রকৃতিতেও পাওয়া যায় না এবং কৃত্রিমভাবেও সেগুলোকে এখন পর্যন্ত তৈরি করা সম্ভব হয়নি।

মৌলের অবস্থান চিহ্নিতকরণ

সম্পাদনা

উপশক্তিস্তর: s p d f g

পর্যায়

১ 1s

২ 2s 2p

৩ 3s 3p

৪ 4s 4p 3d

৫ 5s 5p 4d

৬ 6s 6p 5d 4f

৭ 7s 7p 6d 5f

৮ 8s 8p 7d 6f 5g

৯ 9s 9p 8d 7f 6g

 

common.content_added_by

ভর সংখ্যা বা নিউক্লিয়ন সংখ্যা

925
925

ভর সংখ্যা (Mass Number) : কোনো মৌলের একটি পরমাণুর নিউক্লিয়াসের মধ্যে অবস্থিত প্রোটন এবং নিউট্রনের মোট সংখ্যাকে ওই মৌলের বা পরমাণুর ভরসংখ্যা বলে । অর্থাৎ ভরসংখ্যা =  প্রোটন সংখ্যা + নিউট্রন সংখ্যা । ভরসংখ্যাকে 'A' অক্ষর দিয়ে প্রকাশ করা হয় ।

• ভর সংখ্যা এবং পারমাণবিক সংখ্যার মধ্যে সম্পর্ক : কোনো মৌলের পরমাণুতে যদি P -সংখ্যক প্রোটন এবং N -সংখ্যক নিউট্রন থাকে, তাহলে

পরমাণুটির ভরসংখ্যা (A) =  প্রোটন-সংখ্যা (P) + নিউট্রন-সংখ্যা (N)

যেহেতু, প্রোটন-সংখ্যা (P) = পারমাণবিক-সংখ্যা (Z)

অতএব, ভরসংখ্যা (A) =  পারমাণবিক-সংখ্যা (Z) + নিউট্রন-সংখ্যা (N) বা Z = A - N

অক্সিজেনের পারমাণবিক সংখ্যা (Z) = 8 এবং ভর-সংখ্যা (A) = 16 ; সুতরাং অক্সিজেনকে 8O16 লিখে প্রকাশ করা হয় ।

common.content_added_by

পর্যায় সারণী

526
526

পর্যায় সারণি হচ্ছে বিভিন্ন মৌলিক পদার্থকে একত্রে উপস্থাপনের একটি আন্তর্জাতিক ভাবে গৃহীত ছক। আজ পর্যন্ত আবিষ্কৃত মৌলসমূহকে তাদের ইলেকট্রন বিন্যাসের উপর ভিত্তি করে, ধর্মাবলী বিবেচনায় নিয়ে বিভিন্ন শ্রেণীতে ও পর্যায়ে বিভক্ত করে মৌলসমূহের পারমাণবিক সংখ্যার ক্রমানুসারে পর্যায় সারণিতে সাজানো হয়েছে। পর্যায় সারণিতে মোট ১১৮টি মৌল রয়েছে।এতে ২০টি অধাতু ও ৯১টি ধাতু এবং ৭টি অপধাতু রয়েছে।বিশেষ দ্রষ্টব্য

সম্পাদনা

অ্যাক্টিনাইড ও ল্যান্থানাইড সিরিজের মৌলসমূহকে একত্রে "বিরল মৃত্তিকা ধাতু" নামে অভিহিত করা হয়। এই মৌলগুলোর শ্রেণী সম্বন্ধে বিস্তারিত তথ্যের জন্য এখানে ক্লিক করুন।

ক্ষার ধাতু, মৃৎক্ষার ধাতু, অবস্থান্তর মৌল, অন্তঃঅবস্থান্তর মৌল, ল্যান্থানাইড, অ্যাক্টিনাইড এবং দুর্বল ধাতু এই সবগুলোকে একত্রে ধাতু বলা হয়।

হ্যালোজেন ও নিষ্ক্রিয় গ্যসসমূহও অধাতু।

অবস্থা

সম্পাদনা

আদর্শ তাপমাত্রা ও চাপ (0°সে. এবং ১ atm) ধর্তব্য

যে সমস্ত মৌলের ব্লক red রংয়ের সেগুলো বায়বীয়।

যে সমস্ত মৌলের ব্লক green রংয়ের সেগুলো তরল।

যে সমস্ত মৌলের ব্লক black রংয়ের সেগুলো তরল।

প্রকৃতিগত সাংগঠনিক বৈশিষ্ট্যসমূহ

সম্পাদনা

যে মৌলগুলোর ব্লকে অবিচ্ছিন্ন সীমারেখা আছে সেগুলো আদিম মৌল, অর্থাৎ তাদের যেকোন একটি স্থিতিশীল আইসোটোপের বয়স পৃথিবীর বয়সের চেয়ে বেশি।

যে মৌলগুলোর ব্লকে ড্যাশ আকারের সীমারেখা আছে সেগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে অন্যান্য মৌলের তেজস্ক্রিয় ভাঙনের মাধ্যমে সৃষ্টি হয় এবং এগুলোর এমন কোন স্থিতিশীল আইসোটোপ নেই যেটির বয়স পৃথিবীর বয়সের চেয়ে বেশি। তবে এগুলোর মধ্যে কয়েকটিকে কিছু তেজস্ক্রিয় আকরিকের মধ্যে খুব সামান্য পরিমাণে পাওয়া যায়।

যে সমস্ত মৌলের ব্লকে ডট আকারের সীমারেখা রয়েছে সেগুলো কৃত্রিম মৌল হিসেবে পরিচিত, অর্থাৎ এগুলো প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্টি হয়না।

দ্রষ্টব্য: ক্যালিফোর্নিয়াম (Cf) নামক মৌলটি যদিও পৃথিবীতে প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্টি হয়না, তথাপি ক্যালিফোর্নিয়াম এবং এর তেজস্ক্রিয় ভাঙনের মাধ্যমে সৃষ্ট অন্যান্য কিছু মৌল মহাবিশ্বের অন্যান্য স্থানে পাওয়া যায়। বিভিন্ন সুপারনোভা থেকে প্রাপ্ত * বর্ণালীতে এ মৌলসমূহের তড়িৎচৌম্বক বিকিরণ রেখার অস্তিত্ব পাওয়া যায়।

যে মৌলগুলোর ব্লকে কোন সীমারেখা নেই সেগুলো প্রকৃতিতেও পাওয়া যায় না এবং কৃত্রিমভাবেও সেগুলোকে এখন পর্যন্ত তৈরি করা সম্ভব হয়নি।

মৌলের অবস্থান চিহ্নিতকরণ

সম্পাদনা

উপশক্তিস্তর: s p d f g

পর্যায়

১ 1s

২ 2s 2p

৩ 3s 3p

৪ 4s 4p 3d

৫ 5s 5p 4d

৬ 6s 6p 5d 4f

৭ 7s 7p 6d 5f

৮ 8s 8p 7d 6f 5g

৯ 9s 9p 8d 7f 6g

common.content_added_by

আইসোটোপ

824
824

সমস্থানিক বা আইসোটোপ হল একই উপাদানের স্বতন্ত্র পারমাণবিক প্রজাতি (বা নিউক্লাইডস, প্রযুক্তিগত শব্দ হিসাবে)।[১] তাদের একই পারমাণবিক সংখ্যা (তাদের নিউক্লিয়াসে প্রোটনের সংখ্যা) এবং পর্যায় সারণী[২]তে অবস্থান (এবং তাই একই রাসায়নিক উপাদানের অন্তর্গত), কিন্তু তাদের নিউক্লিয়াসে নিউট্রনের বিভিন্ন সংখ্যার কারণে নিউক্লিয়ন সংখ্যায় (ভর সংখ্যা) পার্থক্য রয়েছে। যদিও একটি প্রদত্ত উপাদানের সমস্ত আইসোটোপের প্রায় একই রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে, তাদের বিভিন্ন পারমাণবিক ভর এবং ভৌত বৈশিষ্ট্য রয়েছে। আইসোটোপ শব্দটি গ্রীক মূল আইসোস (ἴσος "সমান") এবং টোপোস (τόπος "স্থান") থেকে গঠিত, যার অর্থ "একই জায়গা"; এইভাবে, নামের পিছনে অর্থ হল যে একটি একক মৌলের বিভিন্ন আইসোটোপ পর্যায় সারণীতে একই অবস্থান দখল করে।[৩] 1913 সালে স্কটিশ ডাক্তার এবং লেখক মার্গারেট টড ব্রিটিশ রসায়নবিদ ফ্রেডেরিক সডির[৪] পরামর্শে এটি তৈরি করেছিলেন।[৫] পরমাণুর নিউক্লিয়াসের মধ্যে থাকা প্রোটনের সংখ্যাকে এর পারমাণবিক সংখ্যা বলা হয় এবং এটি নিস্তরিত (অ-আয়নিত) পরমাণুর ইলেকট্রনের সংখ্যার সমান। প্রতিটি পারমাণবিক সংখ্যা একটি নির্দিষ্ট উপাদান সনাক্ত করে, কিন্তু আইসোটোপ নয়; একটি প্রদত্ত উপাদানের একটি পরমাণুর নিউট্রনের সংখ্যা বিস্তৃত হতে পারে। নিউক্লিয়াসে নিউক্লিয়নের সংখ্যা (উভয় প্রোটন এবং নিউট্রন) হল পরমাণুর ভর সংখ্যা এবং প্রদত্ত উপাদানের প্রতিটি আইসোটোপের একটি আলাদা ভর সংখ্যা রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, কার্বন-12, কার্বন-13 এবং কার্বন-14 হল কার্বনের তিনটি আইসোটোপ যার ভর সংখ্যা যথাক্রমে 12, 13 এবং 14।[৬] কার্বনের পারমাণবিক সংখ্যা 6, যার মানে প্রতিটি কার্বন পরমাণুতে 6 টি প্রোটন থাকে যাতে এই আইসোটোপের নিউট্রন সংখ্যা যথাক্রমে 6, 7 এবং 8 হয়।

প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া হাইড্রোজেনের তিনটি আইসোটোপ। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় এই যে হাইড্রোজেনের প্রতিটি আইসোটোপের একটি করে প্রোটন রয়েছে। হাইড্রোজেনের আইসোটোপগুলোকে নিউক্লিয়াসে থাকা নিউট্রনের সংখ্যার ভিত্তিতে সনাক্ত করা হয়। বাম দিকের আইসোটোপকে প্রোটিয়াম (1H) বলা হয়, এতে কোন নিউট্রন নেই; মাঝখানের আইসোটোপকে ডিউটেরিয়াম (2H) বলা হয়, এতে একটি নিউট্রন রয়েছে এবং ডানপাশের আইসোটোপটি হল ট্রিটিয়াম (3H), এতে দুটি নিউট্রন রয়েছে৷

common.content_added_by

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

ভরসংখ্যা
নিউট্রন সংখ্যা একই থাকে
প্রোটন সংখ্যা সমান থাকে
প্রোটন ও নিউট্রন সংখ্যা সমান থাকে
ভর সংখ্যা সমান থাকে
নিউট্রন সংখ্যা সমান থাকে
প্রোটন ও নিউট্রন সংখ্যা সমান থাকে
প্রোটন সংখ্যা সমান থাকে

আইসোটোন

783
783

যেসব পরমাণুর নিউট্রন সংখ্যা সমান কিন্তু প্রোটন সংখ্যা ও ভর সংখ্যা ভিন্ন হয়, তাদেরকে পরস্পরের আইসোটোন বলা হয়।[১] যেমন: 36S, 37Cl, 38Ar, 39K এরা পরস্পরের আইসোটোন। কারণ এদের প্রত্যেকের ক্ষেত্রে নিউট্রন সংখ্যা ২০ কিন্তু এদের ভর সংখ্যা তথা প্রোটন সংখ্যা অসমান

common.content_added_by

আইসোবার

783
783

যেসব মৌলের পারমাণবিক সংখ্যা এবং প্রোটন সংখ্যা ভিন্ন তবে, ভর সংখ্যা একই হয়ে থাকে তাদেরকে পরষ্পরের আইসোবার বলা হয়।

***আইসোবার= ভর সমান, প্রোটন ভিন্ন; পৃথক মৌল।***

যেমনঃ

Cu (কপার) এর পারমাণবিক সংখ্যা 29, এবং

Zn (জিংক) এর পারমাণবিক সংখ্যা 30

তবে উভয় মৌলের ভরসংখ্যা 65। ফলে এরা পরষ্পরের আইসোবার। 

একইভাবে, K(পটাসিয়াম), Ca(ক্যালসিয়াম) একে অপরের আইসোবার। 

 

common.content_added_by
টপ রেটেড অ্যাপ

স্যাট অ্যাকাডেমী অ্যাপ

আমাদের অল-ইন-ওয়ান মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে সীমাহীন শেখার সুযোগ উপভোগ করুন।

ভিডিও
লাইভ ক্লাস
এক্সাম
ডাউনলোড করুন
Promotion